ভিন্ন এক মহাভারত, যেখানে হারিয়ে গেছে গীতা, কৃষ্ণ, ও ন্যায়বিচার।
1️⃣ হস্তিনাপুর হতো ‘ভয়ের রাজ্য’, ভালোবাসার নয়
কুরুক্ষেত্রের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে যখন রাজসিংহাসনে বসত দুর্যোধন,
তখন চারদিকে বাজত জয়ধ্বনি — কিন্তু সেটা হতো শুধু কর্ণধারদের মুখে।
📍 সাধারণ মানুষের মনে থাকত একটাই অনুভূতি — ভয়।
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিখত —
“রাজা মানে শাসক, নয় রক্ষক।”
ভক্তি নয়, তোষামোদ দিয়ে তৈরি হতো শাসনব্যবস্থা।
রাজনীতি হয়ে উঠত শুধুই ক্ষমতার খেলা,
যেখানে মমতা, দয়া, ন্যায় — এদের জায়গা থাকত না।
পাণ্ডবদের পরাজয়ের মানে শুধু এক যুদ্ধ হারা নয়,
তা মানে — দ্রৌপদী তার অধিকার হারাতো, হারাতো সম্মান রক্ষার সুযোগও।
“নারীর সম্মান তখন বিলাসিতা হতো, যদি কৌরবরা জিতত।”
যখন এক নারীকে সভায় টেনে এনে তার বস্ত্রহরণ করা হয়,
তখন সমাজ দেখে, কিন্তু নীরব থাকে। “যদি কৌরবরা জিতত, হস্তিনাপুরের শাসনব্যবস্থা হয়ে উঠত ভয়ের প্রতিচ্ছবি।”
📍
যদি সেই সমাজের নেতারা জয়ী হয়,
তবে ভবিষ্যতের মায়েরা, বোনেরা, কন্যারা —
আর কখনও ন্যায়ের আশায় মুখ তুলত না।
নারীর প্রতি সহিংসতা হয়ে উঠত ‘জয়ীর অধিকার’।
পাঠ্যবইয়ে লেখা হতো —
❝ রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে নারী ব্যবহৃত হয়, সেটাই রীতি। ❞
যদি কৃষ্ণের কৌশল ব্যর্থ হতো,
তবে মানুষ বলত —
“সে একজন চতুর চরিত্র, এক রণকৌশলী ষড়যন্ত্রী।”
📍
গীতা জন্ম নিত না।
যা আজ আত্মহত্যাপ্রবণ এক ছাত্রকে বাঁচায়,
অবসাদে থাকা কর্মীকে সাহস দেয় —
সেই গীতা থাকত না পৃথিবীর বুকে।
গীতার বাণী — “তোমার কর্তব্য করে যাও, ফলের আশা কোরো না”
হতো এক বিস্মৃত চিঠি — যা কেউ পড়েনি, কেউ বিশ্বাস করেনি।
যুধিষ্ঠিরের সত্যবাদিতা,
অর্জুনের নিয়ন্ত্রণ,
নকুল-সহদেবের বিনয় —
সবটাই সমাজ মনে রাখত এই বলে —
❝ ভালো হয়ে কেউ জেতে না ❞
📍
ভবিষ্যতের সন্তানদের শেখানো হতো:
“দয়ালু হো, হারবে। ভয়ঙ্কর হও, রাজা হবে।”
একটা পুরো প্রজন্ম শিখত, ভালোবাসা, বিশ্বাস, আত্মত্যাগ —
এগুলো কেবল উপন্যাসে চলে, রাজনীতিতে নয়।
পাণ্ডবদের পরাজয় মানেই ধর্মের মূর্তি ভেঙে টুকরো করে দেওয়া।
যেখানে ধর্ম ছিল সমাজের অন্তর্নিহিত চালিকাশক্তি,
সেখানে দুর্যোধন জিতলে মানুষের চেতনাই পাল্টে যেত।
📍
তখন আর কেউ বলত না —
“সততাই শক্তি।”
বরং শিখত —
“ধোঁকা দাও, জয় তোমার।”
মন্দির থাকত, কিন্তু ঈশ্বর নিঃশব্দ থাকত।
পাঠ থাকত, কিন্তু আত্মা কাঁদত।
এই জগতে কেউ কাউকে ভালোবাসত না —
কারণ ভালোবাসা ছিল দুর্বলতা।
এমন এক পৃথিবী চাই কি?
তাই তো কৃষ্ণ হাসেননি, যুদ্ধের আগে অশ্রু ঝরিয়েছিলেন।
“শিবলিঙ্গের আরাধনায় দুধ ঢালছেন এক ভক্ত, আর চারপাশে প্রণামরত মানুষেরা মন্দির ভরিয়ে তুলেছে আধ্যাত্মিক শক্তিতে।…
ইউটিউব দিয়ে নিজের কাহিনি শুরু করার জন্য প্রস্তুতি: আজ থেকে কয়েক বছর আগেও আমরা ভাবতাম…
ফ্রিল্যান্সিং শিখে ঘরে বসেই আয় করার অনেকের স্বপ্ন। কিন্তু সঠিক পথে না এগোলে এই স্বপ্ন…
Asian Paints share price trend 2025 has caught investor attention amid its recovery signs. Here’s…
कल भारत बंद है। करीब 25 करोड़ लोग इस हड़ताल में हिस्सा लेंगे। जानिए भारत…
অনেকেই মনে করেন মেয়েরা গোপন কথা লুকোতে পারে না। কেন মেয়েরা গোপন কথা লুকোতে পারে…
View Comments